অনলাইন এর কল্যানে ইতিপূর্বে আমরা সবাই জেনেছি ইউটিউব থেকে আয় করা যায়। প্রতিদিন এই নিয়েই অনেক পোস্ট হযেছে তাই আমি সে বিষয়ে যাচ্ছি না।
ইতিমধ্যে আপনি আয় করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পার্টনার হিসেবে জয়েন করেছেন এবং হয়ত এডসেন্সও এড করে দিয়েছেন। কিন্তু ফলাফল সেই একই। আপনার ভিডিও তে ভিউ নাই। আপনার আর্নিং থেমে আছে। কেনই বা হবে না?
আপনি কি ব্যাতিক্রমধর্মী কিছু চিন্তা করে ভিডিও তৈরি করেছেন? সবাই যেমন করছে আপনি সবার সাথেই তাই করে যাচ্ছেন। ফলাফল শুন্য তো হবেই। আসুন কিছু ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরির কথা চিন্তা করি।
ভিডিও মেকিং আইডিয়া – ভিডিও থেকে আয় করার কৌশল
ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরীর নানারকম কৌশল
বিয়ের আকর্ষনীয় মুহুর্ত ক্যাপচার করুন – আপনি বিয়েতে বিয়ের আকর্ষনীয় মুহুর্ত ক্যাপচার করতে পারেন। বিয়ে মানেই অনেক স্মৃতি। অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনার সামনেই এসে ধরা দিবে। আপনার হাতের মোবাইলেও ধারন করতে পারেন সেসব দৃশ্য। ভিডিও কন্টেন্ট থেকে আয় করতে আপনার ভিডিওটিতে ক্রিয়েটিভ কিছু এড করার চিন্তা করুন।
বর ও নববধুকে নিয়ে সুন্দরটি ভিডিও শুট করুন। বিয়ে অত্যান্ত আবেগ এবং পারিবারিক মিলনের এক সুন্দর পটভূমি। গান, নৃত্য, হাসি, কান্না কি নেই আজকালকার বিয়েতে। বিয়েতে অনেক শিশুও উপস্থিত হয়, তাদের হাসি ক্যাপচার করুন।
এমন ভিডিও তৈরি করতে আপনার কি খুব টাকা খরচ হবে? বাঙ্গালীদের বিয়েতে তো অনেক অনেক মজার মজার দৃশ্য থাকে। আপনি একাগ্র হলে আপনার হাতেই ধরা দিবে সব থেকে সুন্দর মুহুর্তগুলো। এরকম ভিডিও ভিউ অবশ্যই পাবেন।
আমার পরামর্শ: শিশুতের হাতে কিছু টাকা দিয়ে যাই অভিনয় করাবেন তারা তাই করবে। আপনি শুধু তাদের মধ্য থেকে দৃশ্যগুলো বের করে আনুন।
বিপদজনক মুহুর্ত ক্যাপচার করুন – দুংখজনক হলেও সত্য মানুষজন এমন ভিডিও দেখতে অনেক আগ্রহী। কোথাও আগুন লাগার খবর পেয়েছেন? রাজনৈতিক কোন গন্ডগুল হচ্ছে? ছিনতাইকারী ধরা হয়েছে? এসব দৃশ্যের চাহিদা অনেক। মুহুর্তেই এসব ভিডিও শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে যায় সবর্ত্র।
আমার পরামর্শ: কেউ বিপদে থাকলে আগে তাকে উদ্ধার করুন। সব সময় কমার্শিয়াল হওয়া ভালো নয়। মানবতাটুকু একেবারেই কমার্শিয়াল করে দেয়ার কোন মানেই হয় না।
ভিডিও মেকিং আইডিয়া – ভিডিও থেকে আয় করার কৌশল
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডার মুহুর্ত – বন্ধুদের অড্ডায় আপনি গোপন একটি ক্যামেরা আপনার পকেটে রাখতে পারেন। একেবারে ন্যাচারাল দৃশ্য ধারন করতে পারবেন। বন্ধুদের বললে তারা হয়ত এমন দৃশ্য তৈরি করতে পারবে না। তাছাড়া আপনার বন্ধুদের মধ্যে যদি আপনার মতোই কাউকে পেয়ে যাবেন তবে আপনারাই তৈরি করুন বিভিন্ন সচেতনতামূলক শর্ট ফিল্ম। খুব কঠিন কিছু নয়। সাহস করে ট্রাই করেই দেখুন। তাছাড়া স্কুল কলেজে বিভিন্ন ইভেন্টে খেলা ও প্রতিযোগীতা হয়। সেগুলোও ধারণ করতে পারেন।
আমার পরামর্শ: ভিডিওতে যাদের ক্যাপচার করেছেন পরবর্তীতে তাদের পরামর্শ নিয়ে তা পাবলিশ করুন। কারো অমত থাকলে ভিডিও টি ডিলিট করে দিন।
ভিডিও গান রেকর্ড করুন – আপনার আশে পাশেই অনেক ছোট বড় শিল্পি আছেন যারা ভালো গান জানেন কিন্তু তারা কখনই মিডিয়ায় আসার সুযোগ পান নি। তাদের খুজে বের করুন। অনেক ভিখারীর কন্ঠও আপনি পেয়ে যাবেন যা আপনাকে মুগ্ধ করবে। দেরি কেন? চলুন তাদের নিয়ে কাজ করি।
আমার পরামর্শ: তাদের ভিডিও দিয়ে আপনি আয় করবেন তাই তাদের হাতেও কিছু টাকা ধরিয়ে দিন।
বিজ্ঞাপন তৈরি করুন – আপনার আশে পাশেই অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বিজ্ঞাপন করার সামর্থ নাই। দেশীয় পণ্যের একদিকে প্রচার হলো অন্যদিকে আপনারও আয় হলো। আপনার পাড়ার সামনের চা দোকানে বসেই এমন অনেক দৃশ্য পেয়ে যাবেন। হকারদের প্রডাক্ট বিক্রয় করার দৃশ্যও ক্যাপচার করতে পারেন। বিভিন্ন প্রডাক্টের গুনগত মান কেমন তা নিয়েও ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আমরা দৈনন্দিন ব্যবহার করি এমন অনেক প্রডাক্টই আছে যা নিয়ে আমরা ভিডিও তৈরি করতে পারি। যেমন ফার্নিচারের দোকানে আকর্ষনীয় ডিজাইনে তৈরি করা ফার্নিচারের উপর ভিডিও তৈরি করুন।
আমার পরামর্শ: দেশীয় প্রডাক্ট বেশী করে প্রচার করুন।
ভ্রমন কাহিনী – কোথাও বেড়াতে গেছেন? ভিডিও ক্যামেরাটি অন রাখুন। মানুষদের দৃশ্যগুলো দেখান যেন তারা ভ্রমণে আগ্রহী হয়। এসব জায়গায় ভ্রমণে কি কি প্রস্তুতি নিয়ে আসা উচিত তাই আপনার ভিডিওতে বলুন। সেসব জায়গায় কোন অনিরাপত্তা থাকলে সেগুলো সম্পর্কে সচেতন করুন। ভ্রমণের জন্য কোন সময়টা উত্তম সেটাও উল্লেখ করুন।
আমার পরামর্শ: আমাদের দেশেই আমাদের আশে পাশে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর লেক, ঝরনা, পাহাড় রয়েছে। সেগুলো নিয়ে ভিডিও তৈরি করুন।
হোম মেইড – আজকাল হোম মেইড ভিডিওর অনেক ভিউয়ার আছে। মজাদার খাবার তৈরির ভিডিও, সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে যেসব পরিস্তিতির সম্মুখিন হোন সেসব ভিডিও কিংবা জন্মদিনের ঘরোয়া পার্টি আয়োজন নিয়েও ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
ভিডিও মেকিং আইডিয়া – ভিডিও থেকে আয় করার কৌশল
আমার পরামর্শ: খাবার রেসিপি নিয়ে ভিডিও তৈরি করলে অনেক ফিমেইল ভিউয়ার পাবেন।
এ তো বলছি বিভিন্ন ইভেন্টে ভিডিও তৈরির পেক্ষাপট। ভিডিও থেকে আর্ন করতে হলে ভিউয়ার বাড়াতে হবে আর এজন্য টাইটেলটাও অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ
শেষ কথা – আমার এই পোস্টটি পড়তে পড়তে আপনার মাথাও হয়ত কোন আইডিয়া কাজ করছে। দেরী না করে কমেন্টে শেয়ার করুন। আর হ্যা পোস্টটি পড়া শেষে প্লিজ শেয়ার করুন আপনার ফেইসবুকে।
No comments:
Post a Comment