ব্রণ অনেকেরই হয়। এটি বেশ বিরক্তিকর একটি সমস্যা। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৮৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্রণ বা একনে বলতে আমরা কী বুঝি।
উত্তর : ব্রণ বা একনে সিবাস্রিয়াস গ্রন্থি, যেটা তেল তৈরি করে আমাদের শরীরে। হাতের তালু ও পায়ের তালু বাদে সব জায়গায় এই গ্রন্থিটি আছে। এই গ্রন্থির প্রদাহের জন্য ব্রণ হয়। শুধু একটি কারণ নয়, অনেকগুলো কারণে ব্রণটা হয়। এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে ১২-১৩ বছর বয়সে, যখন এই হরমোন আসা শুরু হয়, শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে আরো কিছু বিষয় যুক্ত হয়ে, প্রকাশ পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানসিক চাপ, সূর্যের আলো, কসমেটিকস, বিভিন্ন ওষুধ যেগুলো লাগানো হয়, অনেকগুলো কারণে ব্রণ বাড়ে বা ব্রণ তৈরি হতে পারে। আমাদের দেশে সূর্যের আলো অনেক দীর্ঘ সময় থাকে। সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষার বিষয়ে আমরা যে খুব সচেতন বিষয়টি তা নয়, ছাতা ব্যবহার করা বা সানস্ক্রিন অনেকে ব্যবহার করি, তবে আসলে সেটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কি না বা এটা কী ধরনের সানস্ক্রিন সেটা বুঝে করা হচ্ছে না। এতে সবকিছু মিলিয়ে কিন্তু ব্রণটি তৈরি হচ্ছে।
অনেক সময়ে মায়েরা বলে ব্রণ কতদিন চিকিৎসা করতে হবে? এখন একটি বাচ্চা যে স্কুলে যাচ্ছে, টিন এজ যে স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে তার কিন্তু মানসিক চাপ থাকবে। এমন না যে আমি ব্রণের চিকিৎসা দিলাম, ডাক্তারকে বলতে পারব চিকিৎসা দিলে ভালো হয়ে যাবে। সেটি কিন্তু নয়। মানসিক চাপ যখন হবে তখন এন্ড্রোজেন তৈরি হবে, ব্রণ আবার তৈরি হবে। শুধু যে সূর্যের আলো এড়িয়ে যাওয়া তাই নয়, ব্রণ যতদিন সমস্যা করবে, ততদিন চিকিৎসা নিতে হবে।
প্রশ্ন : ঠিক কোন বয়সে ব্রণ বেশি হয়?
উত্তর : সাধারণত আমাদের ১২ থেকে ২৪ বছর বয়সে প্রায় সম্পূর্ণ জনসংখ্যার ৮৪ ভাগ লোক কোনো কোনো সময় ব্রণে আক্রান্ত হচ্ছে। এখন দেখা যায় অনেক সময় ব্রণ কিন্তু দুই বছরের বাচ্চার মধ্যে আসতে পারে, এন্ড্রোজেনের প্রভাবে। এখন দেখা যাচ্ছে পঁচিশের পরও ব্রণ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বিভিন্ন কসমেটিকস বা সাদা করার ক্রিম এগুলোর কারণে সমস্যা হয়। হোয়াইটেনিং বা সাদা করার ক্রিমের মধ্যে স্টেরয়েড থাকে। একটি মেয়ে যে জানে না, সে কিন্তু দোকান থেকে একটি বেটনোবেট জাতীয় ক্রিম কিনল—এগুলো ক্ষতি করে।
No comments:
Post a Comment