Tuesday, December 6, 2016

নাসিরনগর হানাদারমুক্ত দিবস

আজ ৭ ডিসেম্বর। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১-এর এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  নাসিরনগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। এবং এই দিনে নাসিরনগরের আকাশে উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা।


১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকার ও আল-বদরের সহায়তায় উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ নারকীয় তাণ্ডব চালায়। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহু লোক আহত ও নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে। অবশেষে  ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয়বাংলা-জয়বাংলা’ শ্লোগান দিতে দিতে এলাকায় ঢুকতে থাকে, ক্রমেই শ্লোগানের আওয়াজ স্পষ্ট হয় এবং কেটে যায় শঙ্কা। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে সবস্তরের মানুষ। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরা এগিয়ে যায় সামনের দিকে। পিছু হটে হানাদার বাহিনী।

এ দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে যে সকল বীরসেনা আত্মহুতি দিয়েছিলেন তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে নাসিরনগরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক নির্মিত হয়েছে। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের দীর্ঘদিন পর মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হক এমপির সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা  ব্যয়ে স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে । এখন শুধু শহীদ পরিবার ও  মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলকে লেখা বাকি রয়েছে। এরপর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব মোল্লা জানান, শহীদ পরিবার ও  মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি হওয়ায় নাম ফলক লেখা অসর্ম্পূণ রয়েছে।

No comments:

Post a Comment