আপনি নতুন একটা পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্ক কিনেছেন। এরপর তা ডিভাইসে লাগানোর পর আপনাকে হতাশ হতে হয়। কারণ আপনি দেখলেন যে, নির্মাতার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’ হয়েছেন!
কীভাবে?
বলছি। ধরে নিলাম, আপনি ৮ জিবির মেমোরির একটা পেনড্রাইভ কিনেছেন। কিন্তু সেটা যখন ডিভাইসে লাগান তখন দেখা যায় যে, মেমোরি ৮ জিবির পরিবর্তে ৭.৪৬ জিবি রয়েছে।
অর্থাৎ ০.৫৪ জিবি মেমোরি উধাও হয়ে গেছে? এরপর নিশ্চয়ই আপনার রাগ হয় নির্মাতার ওপর, সম্পূর্ণ মেমোরি না দিয়ে, কৌশল করে কিছু কম দিয়েছে বলে।
তবে প্রতারিত হওয়ার এ ধারণাটি কিন্তু আসলে ভুল। নির্মাতাদের এক্ষেত্রে কোনো ইচ্ছাকৃত কূট কৌশল নেই। গাণিতিভাবেই বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। যখন একটা পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্ক তৈরি করা হয়, তখন নির্মাতাদের বিবেচনার মধ্যে রাখতে হয় যে,
১ মেগাবাইট = ১০০০ কিলোবাইট
১ গিগাবাইট = ১০০০ মেগাবাইট
১ টেরাবাইট = ১০০০ গিগাবাইট
মূলত ডেসিমেল সিস্টেমে (দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি) ১০ বেস নম্বর হিসেবে ধরে ব্যবহার করতে হয়।
অপরদিকে, কম্পিউটার পরিচালনা হয় বাইনারি সিস্টেমে ২ বেস নম্বর হিসেবে। এবং সেখানে
১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট
আর এই মেথডের গুণফল দায়ী পেন ড্রাইভ বা হার্ডডিস্ক থেকে কিছুটা জায়গা হারিয়ে যাওয়ার জন্য। উদাহরণস্বরুপ ১৬ জিবির একটা পেনড্রাইভ দিয়ে বিষয়টা খোলাসা করে বলছি।
নির্মাতাদের হিসাব অনুযায়ী, ১৬ জিবি হবে ১৬*১০০০*১০০০*১০০০ = ১৬,০০০,০০০,০০০ বাইট
কিন্তু কম্পিউটারের হিসাব অনুযায়ী ১৬ জিবি আসলে ১৬*১০২৪*১০২৪*১০২৪ = ১৭,১৭৯,৮৬৯,১৮৪ বাইট।
দুই হিসাবের গুণের এই পার্থক্য হয় ১৭,১৭৯,৮৬৯,১৮৪ বাইট - ১৬,০০০,০০০,০০০ বাইট = প্রায় ১.১ জিবি! যা কম্পিউটারে কম পাওয়া যায়।
বেশি মেমোরির ক্ষেত্রে, এই পার্থক্যের ব্যবধানটাও আরো বেশি হয়ে থাকে।
এজন্য পেনড্রাইভ বা হার্ডডিস্কের বক্সে ১ মেগাবাইট = ১০০০০০০ বাইট উল্লেখ করা থাকে বেস ১০ হিসেবে।
More news related this News Click Here |
No comments:
Post a Comment