নেইমারের কাঁধে
ভর করে অলিম্পিক ফুটবলে প্রথম স্বর্ণজয়ের স্বপ্ন দেখছে ব্রাজিল। তবে এজন্য
নেইমারকে আবেগ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিলেন দেশটির সাবেক মিডফিল্ডার
জুনিনিয়োও।
তিনি
বলেন, ‘নেইমার ব্যাতিক্রমী খেলোয়াড়, আমার মতে, সে অনন্য। বল যখন তার পায়ে
আসে সবাই আশা করে গোল হবে। জাতীয় দলে সে ফল নির্ধারক। তাকে অবশ্যই অতিরিক্ত
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কারণ সে সেলেসাওয়ে তার গুরুত্বটা জানে। দল
পার্থক্যটা বুঝতে পারছে এবং তারা জানে নেইমার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’
পাঁচবার
বিশ্বকাপ ও তিনবার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জয়ী ব্রাজিল একমাত্র অলিম্পিক
ফুটবলেই সাফল্য পায়নি। দেশের মাটিতে এবারের অলিম্পিকে খেলার উদ্দেশেই কোপা
আমেরিকার শতবর্ষী আসরে খেলেননি নেইমার।
আগামী শুক্রবার পর্দা উঠবে অলিম্পিকের। তবে ফুটবলে সোনার লড়াই শুরু হয়ে যাবে একদিন আগে বৃহস্পতিবার থেকে।
গত
শনিবার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ২-০ গোলের দাপুটে জয়ে
দুর্দান্ত খেলে তার প্রমাণও রেখেছেন বার্সেলোনা তারকা। তাই সামর্থ্যের
বিচারে নেইমারের কাঁধে ভর করে স্বপ্ন দেখতেই পারে ব্রাজিল সমর্থকেরা।
আন্তর্জাতিক
টুর্নামেন্টে নেইমারের শেষ উপস্থিতি ২০১৫ সালে চিলিতে হওয়া কোপা আমেরিকায়।
প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচের
শেষে পাবলো আরমেরোকে লক্ষ্য করে বলে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন নেইমার। পরে
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ব্রাজিল অধিনায়ক। এজন্য চার
ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পাওযায় ওই প্রতিযোগিতায় আর খেলা হয়নি তার। অধিনায়ককে
ছাড়া দলও বেশি দূর এগোতে পারেনি; কোয়ার্টার-ফাইনালে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে
যায় তারা।
গত
বছরের ওই স্মৃতি স্মরণ করেই উত্তরসূরিকে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বললেন ১৯৯৬
অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জেতা ব্রাজিল দলের সদস্য জুনিনিয়ো।
তিনি
বলেন, ‘নেইমার, সে অনন্য, কিন্তু তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আমার
বিশ্বাস, ব্রাজিল অলিম্পিক ২০১৬ জিততে পারে। আমি মনে করি, ব্রাজিলে দারুণ
সব খেলোয়াড় আছে এবং তারা বিজয়ের স্বপ্ন সত্যি করতে পারে।’
No comments:
Post a Comment