চুলে খুশকির সমস্যা অনেকেরই। খুশকির ফলে শুধু যে অন্যের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় তা নয় বরঞ্চ খুশকির ফলে মাথার ত্বকও চুলকোতে থাকে।
খুশকি নানা কারণে হতে পারে। যেমন অনিয়মিত চুল ধোয়া, মাথার চামড়া শুষ্ক হয়ে গেলে, সঠিক ডায়েটের অভাবে, দূষণ, কিছু নির্দিষ্ট কেমিক্যালের জেরে ইত্যাদি। অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণেও খুশকির সমস্যা বাড়তে পারে।
খুশকি প্রতিরোধে বাজারে বিভিন্ন অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পু রয়েছে। তবে অ্যান্টি ড্যানড্রফ শ্যাম্পুগুলোতে থাকা কেমিক্যাল খুশকি দূর করলেও, চুল হারিয়ে ফেলে সতেজতা। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুশকি। তাই খুশকি দূর করার জন্য জেনে নিন সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
* লেবু: মাথায় ময়লা জমে ত্বকের রন্ধ্র বুজে গেলে মাথায় স্বাভাবিক তেল উৎপাদনে বাধা পায়। ফলে খুশকির প্রকোপ বাড়তে থাকে। লেবুর রস এই বুজে যাওয়া রন্ধ্র আবার খুলে দেয়। এছাড়া মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে স্বাভাবিক করে এবং চুলে নতুন উজ্জ্বল্য আনে। সুতরাং দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার এক টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে মেশান। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। বেশ কিছুদিন এভাবে লেবুর রস লাগালে ভালো ফল পাবেন।
* নিম: নিম পাতার পেস্ট তৈরি করে তা স্কাল্পে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে খুশকি দূরের পাশাপাশি চুল উজ্জ্বল ও সিল্কের মতো হবে।
* অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। কিছুদিন অ্যালোভেরার রস মাথায় লাগালেই খুশকি দূর হবে।
* বেকিং সোডা: মাথার ত্বকে থাকা মরা চামড়া তুলে দিতে বিশেষ সাহায্য করে বেকিং সোডা। গরম পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে তা স্কাল্পে লাগান। কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন।
* মেথি: চুলের খুশকি দূর করতে মেথি আর একটি উপকারী উপাদান। মেথি পেস্ট করে তা স্কাল্পে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েকদিন করলেই খুশকি দূর হবে।
* অলিভ অয়েল: খুশকির সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েলের ব্যবহার নানা দেশে খুবই জনপ্রিয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহারে খুশকি কমে। কারণ জলপাই তেল প্রাকৃতিকভাবেই ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে বা ত্বকের আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।
No comments:
Post a Comment